পুনরাবর্তন
এই বছরের শেষ দুমাসে নিয়মিত লিখার নিয়ত করেও দুয়েকটা লিখার বেশি যে আর কিছুই লিখা হয়নি, এর কারন শুধু আমার আলস্য নয়, বরং নিজেকে কিছুটা টালমাটাল করে ফেলাও একটা বড় কারন। এই বছরে আর মাত্র পাঁচদিন বাকি আছে। কিছু উত্তান-পতনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে ঠিকই। এই পর্যায়ে এসে জীবনের সবচেয়ে জরুরি ব্যাপারগুলোর দিকে মন দেয়া সবচেয়ে জরুরি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমি এখন সেটাই করতে যাচ্ছি।
মহামারি আর নিজের আলস্য এক করে আরেকটা বছর পার হয়ে গিয়েছে, যে বছরে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। জীবন নিয়ে নতুন করে চিন্তা করার তেমন কিছুও পড়া হয়নি। আর টানা বেশ কদিন বই না পড়লেই নিজের ভেতরের দৈন্য দশাকে যেনো আমি প্রকটভাবে আবিষ্কার করি।
নতুন বছর শুধুই সংখ্যা মাত্র। তাই এই বছরে কয়দিন আছে, তা চিন্তাভাবনা থেকে সরিয়ে অন্যকিছু নিয়ে আসতে হবে। জীবনটাকে আমি ধীরে ধীরে আস্তাকুড় বানিয়ে ফেলছি অনুভব হচ্ছে কেমন যেনো। জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করার, জীবন ধারনের জন্যে নতুনভাবে কিছু শুরু করার সময়টা এখনই।