ছেঁড়া পাতার গদ্য - ১৩

ড্রেসডেন, স্যাক্সন, জার্মানি

রাত ১১ঃ৩৫


...বালিশে পিঠ দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসেছিল সে। হাতের বইটা লাইব্রেরিয়ান মেয়েটার দেয়া- এই বইয়ের একটা চরিত্রের সাথে নাকি তাঁর অনেক মিল আছে। ভাঙ্গা ভাঙ্গা জার্মানে সে জিজ্ঞেস করেছিলো-

"কি করে বুঝলে?"

তাঁর জার্মান শুনে মেয়েটা হেসে ফেলতেই ব্রেস লাগানো দাঁতগুলো দেখতে পেলো সে। প্রায় পরিষ্কার ইংরেজিতে বলেছিলো-

ছেঁড়া পাতার গদ্য - ১২

রোড নং ১৯, বনানী, ঢাকা

বিকাল ৪:৩২


বাস থেকে নেমেই ঘামতে শুরু করেছি।

শীত তখনও ভালোভাবে পড়েনি। বিকেলের এই সময়ও তাই রোদের কিছুটা তেজ আছে। তার উপর এয়ার কন্ডিশনড বাসে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ করে নেমে যাওয়াতে গরমটা যেন একটু বেশিই লাগছে।

ডানে বাঁয়ে দুবার তাকিয়ে একটুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। মোবাইলটা হাতে নিয়ে ওর নম্বরে ডায়াল করতেই পাশ থেকে বলে উঠলো, "এইই যে! আমি এখানে!"

ফিরে তাকাতেই পরপর দুটো হার্টবিট মিস হয়ে গেলো।

তোমাকে ০৫

ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে আর লিখবো না।

তবে আমার এই না লিখার ভাবনাটাও তোমাকে নতুন করে সামনে নিয়ে আসবে, তা হয়তো নিশ্চিত ছিলাম। এইজন্যেই বোধহয় দুই দিনের ব্যবধানে দুবার তোমাকে দেখেছি।

না, বাস্তবে নয়, স্বপ্নে।

প্রথম স্বপ্নটা এরকমঃ

তোমাকে ০৪

তোমার মনে আছে, আমরা কোন বাসটাতে উঠে একসাথে কিছুদূর যেতাম? সেই বাসটায় বসে তোমার সাথে একটু বেশিক্ষণ থাকার জন্যে একটু দূরের স্টপেজ থেকে উঠতাম। তারপরেও কিভাবে রাস্তাগুলো চোখের পলকেই শেষ হয়ে যেতো, তাই না?