ছেঁড়া পাতার গদ্য - ০৫

রোড ৪এ, ধানমণ্ডি

বিকেল ৩:৩৮


একটু আগেও রোদটা গায়ে লাগছিলো। শীত এসে গেছে, তাই রোদের তেজ তেমন নেই। পাশাপাশি হাঁটছিলাম দুজন। অনেকদিন পর দেখা হয়েছে ওর সাথে। অনেক কথাই জমে ছিল। অনেক কথা বলেছিও, কিন্তু মনে হচ্ছে সব বলা হয় নি।

দেখা হবার পর কেনো যেনো সঙ্কোচ লাগছিলো, চোখাচোখি হতে চোখ সরিয়ে নিচ্ছিলাম (উল্টোটা ঘটাই স্বাভাবিক ছিলো... 😑) দেখে নিজের উপরই বিরক্ত হচ্ছিলাম। কিন্তু ওকে দেখে মনে হল, এই ব্যাপারটায় মজা পেয়েছে। চোখাচোখি হতেই ফিক করে হেসে ফেলল। বলল "এখন খাবে? "

বই আলোচন ০২ - বিশ্বাসঘাতক

হিস্টোরিক্যাল ফিকশন আমার পছন্দের জনরা- এই ব্যাপারটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'প্রথম আলো' উপন্যাস পড়ার পর।

বেশ কয়েকমাস ধরে রিডার্স ব্লকে থাকার পর খুঁজে পেয়েছিলাম এই বইটা। আরো অনেক না পড়া বইয়ের ভেতর আড়াই বছর আগে বাতিঘর থেকে কিনে আনা বইটা চুপ করে বসেছিলো। পড়া শুরু করে কিছুদূর যাওয়ার পরেই বুঝলাম এরকম হিস্টোরিক্যাল ফিকশানই এখন দরকার ছিলো আমার।

ছেঁড়া পাতার গদ্য - ১১

সেক্টর ০৫, উত্তরা, ঢাকা

সন্ধ্যা ৬:২৫


সূর্য ডুবেছে অনেক আগেই। শীতটা আস্তে আস্তে বাড়লেও বিল্ডিংটার দোতালায় কফিশপটার ভেতরে বেশ আরামদায়ক উষ্ণতা আছে। জানালার পাশের সোফায় বসে আছি। আমার মুখোমুখি বসে স্বচ্ছ কাঁচের জানালা দিয়ে বাইরের ব্যস্ত কোলাহলের দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে মেয়েটা।

একটু পর ফিরে তাকাল সে। "ওদের হ্যাজেলনাট কফিটা অনেকদিন পর আবার খেলাম, টেস্ট আগের মতোই দারুণ!"

"আচ্ছা" বলে নিজের জন্যে অর্ডার করা লাত্তের কাপে চুমুক দিলাম।

সে এবার তাঁর স্বভাবসুলভ চোখ বড় বড় করে তাঁর কাপটা আমার দিকে বাড়িয়ে বললো, "খেয়ে দেখো"।