দিন প্রতিদিন - ০২

শনিবারের সকাল। সপ্তাহের একমাত্র দিন, যখন অফিসের ব্যস্ততা নেই। ঘুম থেকে না চাইলেও যেন উঠতে একটু দেরিই হয়ে যায়। ভোর সকালের সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপার কি? ব্যস্তহীনতা। মানুষ জীবিকার জন্যে তখনো ব্যস্ত হয়ে ওঠে না। মানুষের সাথে সাথে প্রকৃতিও যেনো রাতের ক্লান্তি কাটিয়ে সকালে আড়মোড়া ভেঙ্গে নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

দিন প্রতিদিন - ০১

আজ শুক্রবার। সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবার দিনটা আলাদা। শৈশবের স্কুল জীবনের এই একদিনই স্কুলে যেতে হতো না, সেখান থেকেই হয়তো এই দিনটায় ছুটির আমেজ মস্তিষ্কে পাকাপাকিভাবে স্থান করেয়েছে। এই মুহূর্তে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি সেখানে শুক্রবারেও আধবেলা অফিস খোলা থাকলেও এই দিনটায় কাজ থাকুক বা না থাকুক, আমেজটা থেকে যায়।

প্রারম্ভের পূর্ব কথা

ব্লগ বানিয়ে রেখেছি বেশ অনেকদিন আগেই, কিন্তু আবশ্যক অনাবশ্যক ব্যস্ততায়, কখনো বা স্রেফ কি লিখবো তা বুঝে উঠতে না পারায়, এর আগে প্লাটফরম হিসেবে যে স্ট্যাটিক সাইট জেনারেটর ব্যবহার করেছিলাম সেটা ঠিক মনের মতো না হওয়ায় প্রথম পোস্ট লিখেই থেমে ছিলাম অনেকগুলো দিন, বলা যায় অনেকগুলো মাস।

লিখালিখি আমার কাছে একমাত্র ব্যাপার যেটায় আমি নিজের ভেতর এক ধরনের স্বাধীনতা অনুভব করি। না, আমি কোনোমতেই লেখক টাইপ কেউ নই। ক্ষিধে বা ঘুমের মতোই লিখালিখি আমার কাছে স্বাভাবিক এবং অত্যাবশ্যক একটা কাজ মাত্র, যার অভাব শরীর আর মনকে অকেজো করে দেয়।

...মানে না লিখলে আমি শারীরিক কষ্ট অনুভব করি কি না?

সূচনা

ব্লগের প্রথম লিখা। যদিও এই লিখাটার আগে বেশ কয়েকটা ‘পরীক্ষামূলক ভুক্তি’ লিখে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, এটাই প্রথম ভুক্তি হিসেবে প্রকাশিত হবে।

আমার লিখার নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু থাকবে কি না, সত্যি বলতে আমি এখনো নিশ্চিত নই। একজন মানুষের ব্লগ লিখার হাজারো কারন থাকতে পারে। আমার কারনটা কি?

নিছক নিজের কাছেই যদি লিখতাম, তাহলে বানানের কি শব্দ চয়নের, কোনটার প্রতিই মনোযোগ সেভাবে থাকতো না, যেভাবে একটা ব্লগে লিখার সময় থাকতে হয়। কিছু লিখা থাকে যা নিজ থেকেই যেনো প্রকাশের তাগিদ অনুভব করে। তাই হয়তো এই ব্লগটা।

কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লগ লিখি নি, কিন্তু স্বল্প অভিজ্ঞতায় এটা জানি যে, ইংরেজীর তুলনায় বাংলায় কিছু লিখা তুলনামূলক কঠিন কাজ, অন্তত আমার কাছে (কেন, সেটা অন্য কোন পোষ্টে কোনো একদিন লেখা হবে)। তারমানে এই নয় যে, আমার ইংরেজী লিখা শুদ্ধ, বরং আমি গ্রামার/ব্যাকরনে ভালোই দূর্বল। বাংলাতে লিখতে হলে, আমার মতে, ‘যথেষ্ট সৎ’ হয়ে লিখতে হয়, যা অনেক সময় বিব্রতকর মনে হয়। তবু, লিখাগুলো আপাতত মাতৃভাষাতেই লিখা হবে।

তাহলে, আমি কি নিয়ে লিখছি?