আরেকটি বছর

দেখতে দেখতে আরেকটি বছর শেষ হয়ে আসলো। ক্যালেন্ডারের পাতায় বছরের শেষ দিনে চলে আসলাম। এই পোস্টটা লিখছি যখন তখন রাতের প্রায় দশটা বেজে গিয়েছে। একটু পর পরই আতশবাজির ফোটানোর আওয়াজ পচ্ছি। একটা মহামারির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এবং হচ্ছে পুরো পৃথিবীর মানুষকে। করোনার প্রকেপ কমে নি, কিন্তু মানুষ তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে খুব বেশি দিন দূরেও থাকতে পারে নি। জীবনের তাগিদে, জীবিকার তাগিদে তাদেরকে পরস্পরের কাছে যেতেই হয়েছে। মহামারির শুরুতে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর

পুনরাবর্তন

এই বছরের শেষ দুমাসে নিয়মিত লিখার নিয়ত করেও দুয়েকটা লিখার বেশি যে আর কিছুই লিখা হয়নি, এর কারন শুধু আমার আলস্য নয়, বরং নিজেকে কিছুটা টালমাটাল করে ফেলাও একটা বড় কারন। এই বছরে আর মাত্র পাঁচদিন বাকি আছে। কিছু উত্তান-পতনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে ঠিকই। এই পর্যায়ে এসে জীবনের সবচেয়ে জরুরি ব্যাপারগুলোর দিকে মন দেয়া সবচেয়ে জরুরি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর আমি এখন সেটাই করতে যাচ্ছি।

একজন হুমায়ূন - ০১

টানা অনেক দিন অফিস-বাসা করতে করতে একঘেয়েমি চলে এসেছিলো। তার চেয়েও বড় ব্যাপার অনেকদিন বইপত্র কিছু কিনি নি। আর এই জিনিস বেশি দিন না কিনে থাকলে আমার শ্বাসকষ্টের মতো হয়- হ্যাঁ, অনুভূতিটা শারীরিক নয় কিন্তু মানসিক। গতকাল অফিস ছুটির পর তাই বাসার জন্যে গাড়িতে না উঠে কাওরানবাজার থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাতিঘর চলে আসলাম। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে হুমায়ূন আহমেদ সেকশানের সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম।

জীবন কঠিন - কতোটা?

মাঝে মাঝে কথার ছলে আমার বাবা বলে ওঠেন, "জীবনটা বড় কঠিন বাবা, অনেক কঠিন।" আমার বাবা আক্ষরিক অর্থেই জীবনের অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন। শুন্য থেকে তিনি অনেকদূর এসেছেন। আমার নিজের ঘরে বসে আমি এখন যে এই লিখাটা লিখছি, উনি কঠিন পরিশ্রম না করলে আরও অনেক কিছুর মতো এই লিখাটাও লিখা হতো না। বাবাকে নিয়ে আরেকদিন লিখা যাবে। জীবনটা বৈচিত্র একটা শিশু কখন আবিষ্কার করে? সেটা অনেকটাই নির্ভর করে দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উপর - পরিবার এবং বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ছক বাঁধা পরিবেশ অনেক কিছুই আড়াল করে রাখে, তাই এখানে ঠিক বিদ্যালয়কে এই দিক দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। বাকি থাকে পরিবার। যে শিশুটা বোধ হবার পর থেকে আবিষ্কার করেছে অন্য অনেকের মতো তাঁর মা বাবা বলতে কেউ নেই, আর যে শিশুটাকে স্কুলে আনা নেয়ার করার জন্যে গাড়ি থাকে, সকালে ঘুম ওঠানো থেকে শুরু করে রাতে ঘুমুতে যাওয়ার পুরো ব্যাপারটা যত্নের সাথে যে পরিবশে পরিচালন হয় - দু জনের কাঠিন্যের ক্ষেত্র কি আলাদা হবে?